Saturday, March 30, 2019

রাগ নিয়ন্ত্রণ–একটি শিক্ষামূলক বাংলা গল্প




খুব ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো।সে খুব সামান্য কারণেই রেগে যেত।তার বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে,যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে।
প্রথম দিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো।পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলো তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো।
সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ।শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না।সে তার বাবাকে এই কথা জানালো।তারা বাবা তাকে বললো,এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো।অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো,‘তুমি খুব ভালভাবে তোমার কাজসম্পন্ন করেছো,এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো,প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্তগুলোএখনো রয়ে গিয়েছে।কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না।যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে তুমি যেন একটি পেরেক ঠুকলে পরবর্তিতে যদি তুমি তোমার কথা ফিরিয়েও নাও তখনও তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় থেকে যায়।
তাই নিজের রাগতে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো।মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।

Thursday, March 28, 2019

বাংলা গল্প:ব্রাজিলের লোকগল্প- জঙ্গলের আর্তনাদ



চিত্রশিল্পী: হেনরি রুশো (১৮৪৪-১৯১০),ফ্রান্স

ব্রাজিলের ঘন বনাঞ্চলে যে বৃক্ষগুলো পাহাড়ের মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে সে বৃক্ষগুলোর স্থানীয় নাম মাফুমেইরা। বিশালাকার মাফুমেইরা নিয়ে বনের অধিবাসীদের মধ্যে নানা গল্প টিকে আছে হাজার বছর ধরে।

অনেকেই মনে করেন মাফুমেইরা বৃক্ষগুলো একটি পবিত্র শক্তির ধারক, যে শক্তি সব রকমের অনিষ্টের হাত থেকে এ জঙ্গলকে বাঁচিয়ে রেখেছে বছরের পর বছর। স্বভাবতই এ মাফুমেইরা বৃক্ষগুলো বনের অধিবাসীদের ভক্তি শ্রদ্ধা নিয়ে মাথা উঁচু করে থাকে সর্বদা। মাফুমেইরারা বনকে রক্ষা করে বিধায় বনের অনিষ্ট সাধন চিরস্থায়ীভাবে কখনো বন্ধ হয়ে যায়নি। নানা সময়ে লোভী মানুষেরা বনকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে।
অডাও এবং তার দুই বন্ধু জঙ্গলের পাশের একটি গ্রামে বাস করত। একদিন তারা তিন বন্ধু সিদ্ধান্ত নিলো এখন থেকে তারা জঙ্গলে গাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করবে। পরদিনই তারা তিনটি কুঠার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বনের গভীরে চলে গেল। বনের গভীরে গিয়ে তারা প্রতিদিন কিছু গাছ কেটে গাছের গুড়ি বানিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে বিক্রি শুরু করল।
গ্রামবাসীরা তাদের থেকে গাছের গুড়ি কিনে কেউ ঘর বানাত, কেউবা রান্না করার লাকড়ি। এভাবে অডাও এবং তার বন্ধুদের ভালই কেটে যাচ্ছিল। তারা জঙ্গলের মধ্যে একটি কুটির বানিয়ে নিয়ে বসবাসেরও ব্যবস্থা করল। একটি গাছ কেটেই তারা প্রচুর কাঠ পায়, সেই কাঠ দিয়ে তারা সভাবে জীবনযাপন করতে পারে। তারা যখন একটি গাছ কাটত তার বিনিময়ে দুটি চারাগাছ রোপন করত জঙ্গলে, যেন এ বনাঞ্চল বৃক্ষশূন্য না হয়ে পড়ে। প্রতিটি চারাগাছ রোপনের সময় অডাও বলত, ‘যদি আমরা জঙ্গলের যত্ন নিই, তবে জঙ্গলও আমাদের যত্ন নেবে
অডাও ও তারা বন্ধুরা তাদের জীবন নিয়ে, তাদের শ্রম নিয়ে, বাসস্থান নিয়ে পরিতৃপ্ত ছিল। তারা প্রত্যেক মাসে একটি মাফুমেইরা বৃক্ষ কাটত এবং তার প্রতি সম্মানস্বরূপ একটি চারাগাছ রোপন করত। কিন্তু তাদের এ আত্মতৃপ্তি দীর্ঘস্থায়ী হলো না। অডাও এর অপর দুই বন্ধু তাকে না জানিয়ে অন্যরকম একটি সিদ্ধান্ত নিল। তারা দুজন ভেবে দেখল তারা যদি মাসে অনেকগুলো মাফুমেইরা বৃক্ষ কাটতে পারে তবে তাদের অনেক সম্পদ হবে। তারা খুব দ্রুত ধনী হয়ে যাবে, তখন তাদের আর কষ্ট করে গাছ কাটতে হবে না।
অডাও যখন তাদের এ সিদ্ধান্ত জানতে পারলো সে খুব কষ্ট পেল। সে তার বন্ধুদের প্রযোজনের অতিরিক্ত গাছ কাটতে নিষেধ করল। কিন্তু তার লোভী বন্ধুরা তার কথাকে সম্মান করল না। তারা শহর থেকে ট্রাকটর এবং করাত নিয়ে আসল। তারা করাত দিয়ে গাছের পর গাছ কাটতে লাগলো,এ বুঝি জঙ্গল উজাড় হওয়ার সূচনা। তারপর ট্রাকটরে করে একসঙ্গে অনেক গাছের টুকরো শহরে গিয়ে বিক্রি করা শুরু করল। জঙ্গলের প্রতি তাদের আর কোনো মায়া-মমতাই থাকল না। তারা আর কোনো নতুন চারাও লাগায় না।
তারা খুব দ্রুত মাফুমেইরা বৃক্ষ কাটায়ও পারদর্শী হয়ে উঠল। তারা এতো দ্রুত গাছ কাটতে লাগলো যে অডাও নতুন করে চারা লাগাতে পারছে না। অডাও যদিও বুঝতে পারল তার বন্ধুরা লোভের বশবর্তী হয়ে এমন করছে, কিন্তু সে কিছুতেই থামাতে পারল না তার বন্ধুদের। তার বন্ধুরা শিঘ্রই কোনো বড় বিপদ ডেকে আনবে। মাফুমেইরা জঙ্গলের এ অনিষ্ট কিছুতেই সহ্য করবে না।
অডাও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করল সে একা এ জঙ্গলকে কিছুতেই অনিষ্টের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না। কিন্তু অডাও জানতো না সে একা নয়, তার সঙ্গে আছে জঙ্গলের পবিত্র শক্তি মাফুমেইরা। মাফুমেইরার পবিত্র শক্তি জঙ্গলের এ অসম্মান দেখে জেগে উঠল এবং প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলো।
সেদিন রাতে অডাও কুটিরের ভেতর শুয়ে আছে, সে বুঝতে পারলো সারা জঙ্গলে মাফুমেইরার শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জঙ্গলের চারদিকে অদ্ভুতগর্জন ভেসে আসছে। অডাও শুনতে পেল- আমি মাফুমেইরার পবিত্র শক্তি, আমি জঙ্গলকে রক্ষা করতে এসেছি, জঙ্গলকে অসম্মান করে কেউ বাঁচতে পারবে না। জঙ্গলের প্রাণী ও বৃক্ষদের আমি বাঁচাবই।অডাও তার বন্ধুদের অপরিনামদর্শী কাজের জন্য ভয় পেল। তারা এমনকি সেও হয়তো মাফুমেইরার শক্তির রোষ থেকে বাঁচতে পারবে না। তার বন্ধুদের কৃতকর্মের জন্য তাকেও শাস্তি পেতে হবে।
পরদিন সকাল থেকে অডাওয়ের বন্ধুদের পরিকল্পনামতো আর কিছু চলছিল না। তার দুই বন্ধুরই ঘুম ভাঙল পেটে অসম্ভব ব্যাথা নিয়ে। কিন্তু পেটেরব্যাথাও তাদের লোভের কাছে অসহায়, অসুস্থ শরীর নিয়ে তারা গাছ কাটার যন্ত্রপাতি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। ট্রাকটরে উঠে দেখে ট্র্যাকটর কিছুতেই স্টার্ট নিচ্ছে না। একজন বলল, ‘ট্র্যাকটর নষ্ট হয়েছে, কোনো ব্যাপার না, আমরা ট্রাকটর ছাড়াই অনেক কাঠ বইতে পারব। আরেকজন বলল, ‘পেটে ব্যাথা আমার কোনো সমস্যাই করতে পারবে না।
যেই না তারা কুঠার উঠিয়ে গাছ মাফুমেইরা গাছের দিকে কোপ দিতে গেল, অডাও তাদের থামল। অডাও তার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে মিনতি করে বলল,‘বন্ধুরা তোমরা আজকের দিনটা অন্তত কোনো গাছ কেটো না, তোমরা বরং গাছের চারা রোপন করে আজকের দিনটা কাটাও, তোমাদের শরীরও আজ ভাল নেই।
লোভী বন্ধুরা তার নিষেধ কিছুতেই শুনল না। তারা যেই না মাফুমেইরার দিকে কুঠার উঠাল সেই না জঙ্গলে শুরু হল তুমুল ঝড়। মাফুমেইরার ডালে ডাল লেগে বিকট শব্দ হলো, কেঁপে উঠল পুরো জঙ্গল, গর্জন করতে লাগলো মাফুমেইরার শক্তি। সঙ্গে সঙ্গে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামল। ঝড় এবং বৃষ্টি তাদের ঘরখানি উড়িয়ে নিয়ে গেল, এক বন্ধু আতঙ্কে হাত থেকে কুঠার ফেলে হাত কেটে ফেলল। বৃষ্টিতে তাদের সমস্ত যন্ত্রপাতি ভেসে নদীতে তলিয়ে গেল। শুধু ধ্বংসস্তুপের মধ্যে কিছু তক্তা পড়ে রইল।
তখন অডাওয়ের এক বন্ধু চিকার করে বলল, ‘আমাদের এখনই পালাতে হবে, আমাদের আর কিছু অবশিষ্ট এখানে নেই। তারপর তারা জোরে দৌড়াতে লাগলো গ্রামের দিকে। অনেক কষ্টে তারা কোনো প্রকারে জীবন বাঁচিয়ে বের হল জঙ্গল থেকে।
বাকি জীবনে তাদের আর কখনো জঙ্গলের আশপাশে দেখা যায়নি। ভয় পেলেও অডাও জঙ্গল থেকে পালালো না, সে ঝড়ো বাতাস সহ্য করতে লাগলো, বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো। অডাও চিকার করে বলতে লাগলো, ‘আমি কখনো জঙ্গল ত্যাগ করব না, আমি বাকি জীবন জঙ্গলে অসংখ্য চারা গাছ লাগাব, আমার বন্ধুরা যত গাছ কেটেছে আমি তার থেকে বেশি গাছ লাগাব। আমি ততদিন চারাগাছ লাগাব যতদিন আমি বেঁচে থাকব, কেউ আমাকে আমার কর্ম থেকে বিচ্যুত করতে পাবে না।
আকস্মিক বৃষ্টি থেমে গেল, ঝড়ো হাওয়া বন্ধ হয়ে গেল এবং আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেল। মিষ্টি রোদ জঙ্গলের ভেজা মাটি শুকিয়ে দিল। অডাও সারাদিন গাছের চারা রোপন করতে লাগলো। একটার পর একটা গাছ লাগাচ্ছে সে। এক সময় তার ক্ষুধা লাগলো, কিন্তু সে থামলো না। এভাবে দিনের শেষে সে গাছ লাগাতে লাগাতে একেবারে নিস্তেজ হয়ে গেল। সে চিন্তা করল- হায় আমি কোথায় থাকব, আমার সব কিছুতো ঝড়ে ভেসে গেছে।
তবুও সে তার কুটির যেদিকে ছিল সেদিকে যেতে লাগলো। যখন সে তার কুটিরের কাছে ফিরে আসলো আশ্চর্য হয়ে দেখল, তার কুটিরটি আগের মতোই আছে। অডাও আরও অবাক হলো যখন দেখল তার জন্য টেবিলে সুন্দর করে খাবার সাজানো আছে এবং উষ্ণতার জন্য উনুনে মিটমিট করে হালকা আগুন জ্বলছে।
অডাও বুঝল মাফুমেইরার মহাশক্তি তার কুটির তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে, সে শক্তিই ঝড় সৃষ্টি করে জঙ্গলকে তার লোভী বন্ধুদের হাত থেকে রক্ষা করেছে। সে টেবিলের খাবার পরম তৃপ্তিতে গ্রহণ করল। কৃতজ্ঞতায় তার দুচোখ বেয়ে পানি পড়ল। তাক্ষণিক সে দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা করল- বাকিজীবন সে গাছের চারা রোপন করে কাটিয়ে দেবে। শুধু তার মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য মাসে একটি মাফুমেইরা বৃক্ষ কাটবে।
অডাও ঠিক সে কাজটিই করে গেছে বাকি জীবন। শোনা যায় অডাও জঙ্গলে আরও একশ বছর বেঁচেছিল। তারপর সে যখন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে তখন তার নিঃশ্বাস মাফুমেইরার মহাশক্তির সঙ্গে মিশে যায়। তখন থেকে জঙ্গলে যারা মারা যায় তাদের আত্মা মাফুমেইরার মহাশক্তিতে বিলীন হয়ে যায়। এভাবে মাফুমেইরার মহাশক্তি হাজার বছর ধরে জঙ্গলকে রক্ষা করে সব প্রকার অনিষ্ট থেকে।
গল্পটি ব্রাজিলিয়ান লোকগল্প দ্য লিজেন্ড অব দ্য মাফুমেইরাঅবলম্বনে রচিত  

আগুনে পোড়া ক্ষত সহজে সারায় তেলাপিয়া! by বাংলা গল্প






তেলাপিয়া এমন একটি মাছ, যা সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়।মাছে-ভাতে বাঙালির কাছেও এটি প্রিয় একটি মাছ।শুধু স্বাদেই নয়,পুষ্টিবিদদের মতে এ মাছের পুষ্টিগুণ অসাধারণ!
তেলাপিয়া মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম,প্রোটিন,ভিটামিন বি-১২,ফসফরাসের মতো একধিক অপরিহার্য উপাদান।
তবে জানেন কি,আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষত সারাতেও তেলাপিয়া মাছ অত্যন্ত কার্যকরী!
ব্রাজিলীয় চিকিসকরা জানিয়েছেন,আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশে তেলাপিয়া মাছের ছাল ব্যান্ডেজের মতো লাগিয়ে রাখলে ওই ক্ষত খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়।শুধু তাই নয়,যন্ত্রণাও দ্রুত কমে যায়।
বিজ্ঞানীদের মতে,তেলাপিয়া মাছের ছালে কোলাজেন প্রোটিনের টাইপও টাইপরয়েছে,যা আগুনে পুড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া অংশকেও(থার্ড ডিগ্রি বার্ন কেস)খুব সহজে সারিয়ে তুলতে পারে।ইতোমধ্যেই এই চিকিসা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালে এক ব্রাজিলীয় মস্যজীবীর আগুনে পুড়ে যাওয়া হাতের চিকিত্সা করতে গিয়ে প্রথম তেলাপিয়া মাছের ছালের এই আশ্চর্য গুণ জানা যায়।
জানা গেছে, ওই মস্যজীবীর নাম অ্যান্টোনিও সান্টোস।তার নৌকায় থাকা একটি গ্যাসের টিন ফেটে ডান হাতের অধিকাংশটাই পুড়ে যায় অ্যান্টোনিওর।ব্রাজিলের ফোর্টালেজ এলাকার একটি হাসপাতালের চিকিসক এডমার ম্যাসিয়েল অ্যান্টোনিওর হাতের পুড়ে যাওয়া অংশে তেলাপিয়া মাছের ছালের প্রলেপ লাগিয়ে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই চিকিসা শুরু করেন,সফলও হন।এরপর অনেকের উপরেই এই পদ্ধতিতে চিকিসা চালানো হয়।দেখতে দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এই খবর।বিকল্প ছাল দিয়ে(আক্রান্তের শরীরের অন্যান্য অংশের চামড়া বা ছাল দিয়ে)দগ্ধ অঙ্গ সারিয়ে তোলার পদ্ধতি দীর্ঘদিনের।ওই চিকিসা পদ্ধতিতে নতুন সংযোজন হল তেলাপিয়া মাছের ছাল।
 বিডি প্রতিদিন/কালাম থেকে সংগৃহীত