হিচকি
জুনায়েদ
মুন্সী
অলক পুরের
তিলকবাবুর
মাথার চুলে
টিক্কি
তাই না দেখে
শিয়াল ছানার
উঠলো ভীষণ
হিচকি।
আজব বেফাঁস
শব্দ শুনে
বিড়াল ছানা
কয়
হালুম হুলুম
এলুম আমি
নাইরে কোন
ভয়।
বাঘের মাসী
দেখাও দেখি
কোথায় তোমার
থাবা
এমন সময়
বানর এসে
ডাকল রাজার
সভা।
কৃষ্ণচূড়া
এম এ রহমান
দিন যেমন
বদলের, তেমন বাদলেরও
অবিরাম
বর্ষণে অবগাহন করে
আমি সজীব,
সরস, প্রাণবন্ত
আর দৃশ্যমান
চতুর্দিকে অফুরন্ত
সবুজের মাঝে
আমি উজ্জ্বল উচ্ছ্বল
দুরন্ত
মোহনীয় একেবারেই ভিন্ন।
রাতের
তারকার মতো আকর্ষণীয় দিবাভাগে
রূপবতী
রমণীর চেয়েও লোভনীয় সর্বজনে
আমি হিমালয়
বুকে সূর্যের আভায় রক্তিম কাঞ্চনজঙ্ঘা।
অমাবশ্যার
অন্ধকারে এক ঝাক জলন্ত জোনাকি
আমি
প্রকৃতির রাণী
আমি লাল
টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া!
ইচ্ছেফড়িং
সুলেখা
শামুক
ইচ্ছেফড়িং
দিচ্ছে উড়াল
মেঘ দিয়েছে
ডাক,
পায়ের নিচে
হুক্কাহুয়া
খেঁকশেয়ালের
হাঁক।
হায়েনা আর
শকুন মিলে
গাইছে জোরে
গান
তাই না শুনে
বনমোরগের
উষ্ঠাগত
প্রাণ।
উড়ছে ফড়িং
তিড়িংবিড়িং
শকুন
পিছুপিছু,
ফড়িং কি আর
ডরায় মশায়
বাঘ কি বানর
কিছু?
ফড়িং উড়ে
ক্ষণিক দূরে
চিল দিয়েছে
যোগ
সিংহমামা
বসে আছেন
কখন পাবে
ভোগ!
উড়ছে জোরে
উড়ছে সবাই
কে যে কারে
ধরে
মেঘগুলি সব
একে একে
যাচ্ছে সরে
সরে।
ঈশানকোণে
ডাউস ঘুড়ি
উড়তে ছিলো
বেশ,
ইচ্ছেফড়িং
তার লেজেতে
ধরলো অবশেষ।
চিল শকুনের
উড়াউড়ি
ঘুড়ির লেজে
ফড়িং,
তাইনা দেখে আনন্দেতে
নাচে বনের
হরিণ ।
কে যাবি
আয়রে খোকা
আয়রে খুকু
আয়রে তোরা
আয়,
কে যাবি আজ
অচিনপুরে
আমার ডিঙি
নায়।
শাপলা আছে
শালুক আছে
তিনপ্রহরের
বিল
সাতটি রঙের
রঙধনুতে
আলোর
ঝিলিমিল!
বক শালিকের
ব্যস্ত ডানায়
ছুঁবি
আকাশখানি,
দূর পাহাড়ের
ঝর্ণা থেকে
ছন্দ দেবো
আনি।
পথে পথে
ছড়িয়ে দিয়ে
আলোর রোশনাই,
আয়রে খোকা
আয়রে খুকু
সময় বয়ে
যায়।
সাদার
ছড়াছড়ি
মঞ্জুর
মোর্শেদ রুমন
মেলে আঁখি
দেখি পাখি
করছে উড়াউড়ি,
আকাশ জুড়ে
মেঘেরা উড়ে
সাদার
ছড়াছড়ি।
ঘাসের পরে
শিশির ঝরে
আসছে যে
হেমন্ত,
নতুন ধানে
পিঠার
ঘ্রাণে
নেই খুশির
অন্ত।
No comments:
Post a Comment