আমরা
প্রত্যেকেই নিজের জীবনে আর্থিক নিশ্চয়তা খুঁজি। সে জন্য নিজের অবস্থান থেকে
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই সাধ্যমতো। এক্ষেত্রে চাওয়া আর পাওয়ার মিল সব সময় এক থাকে না।
ব্যর্থতার জন্য দায়ী করে বসি নিজের ভাগ্য অথবা অবস্থানকে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন
অনেকেই আছেন যারা নিজের অবস্থানকে তোয়াক্কা না করে ছুঁয়েছেন প্রত্যাশার স্বর্ণ
শিখর। বিজনেস ইনসাইডারের দৃষ্টিতে শূন্য থেকে শিখরে ওঠা বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের
নিয়ে বিস্তারিত আজকের আয়োজন।
মায়ের মৃত্যুর পর
ড্রপআউট হন ল্যারি
নিট সম্পদ : ৬০.২ বিলিয়ন
ডলার
সফটওয়্যার জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী
মার্কিন ব্যবসায়ী ল্যারি এলিসন। ওরাকল করপোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান
নির্বাহী। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬০.২ বিলিয়ন ডলার। এটি বর্তমান পরিচয়
হলেও ল্যারি এলিসন ছিলেন কারও দত্তক নেওয়া সন্তান। ১৯৪৪ সালের ১৭ আগস্ট নিউইয়র্কের
ব্রুকলিনে এক সিঙ্গেল মাদারের কোলে জন্ম নেন তিনি। সন্তান লালনে অসামর্থ্য থাকায়
মা নিজের নাড়িছেঁড়া ধনকে দত্তক দেন সিকাগোয় থাকা বোনের কাছে। কিন্তু সেখানেও
এলিসনের ভাগ্যে বিপত্তি নেমে আসে। দত্তক নেওয়া মায়ের অকাল মৃত্যুতে স্কুল ছাড়তে হয়
ছেলেবেলায়। জীবিকার সন্ধানে খুবই কষ্টকর অথচ কম বেতনের চাকরিই বেছে নিতে হয় তাকে।
কিন্তু কর্মচেষ্টা থাকলে ঠেকায় কে? আজ তিনি সফল ব্যবসায়ী ও বিলিয়নিয়ার।
খালি মেঝেতে ঘুমাতেন
সেলডন অ্যাডেলসন
নিট সম্পদ : ৩৮.১ বিলিয়ন
ডলার
লাস ভেগাস,ম্যাকাও এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন হোটেলের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের আজকের
ক্যাসিনো মুঘল শেলডন অ্যাডেলসন। জুয়ার সম্রাটও বলা হয় তাকে। বর্তমানে তার নিট
সম্পদের পরিমাণ ৩৮.১ বিলিয়ন ডলার। অথচ এই অ্যাডেলসনই একসময় অর্থসঙ্গতি না থাকায়
ঘুমাতেন খালি মেঝেতে। ১৯৩৩ সালে ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে জন্ম নেওয়া সেলডন
অ্যাডেলসনের অর্থাভাবে লেখাপড়ার দৌড়ও বেশি ছিল না। এক কথায় ড্রপআউট ছিলেন তিনি।
বাবা ছিলেন সামান্য ক্যাব ড্রাইভার আর মা ক্যাটারিংয়ের দোকান চালাতেন। ‘ব্লুমবার্গ বিজনেসউইক’ সূত্রে জানা যায়,
১২ বছর বয়সে এই বিলিয়নিয়ার সংসারে রোজগার বাড়াতে খবরের কাগজ
বিক্রি শুরু করেন। এমনকি ছোট কোম্পানির প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করতেন তিনি।
বাবার মৃত্যুর পর আর
পড়ালেখা করেননি লি কা
নিট সম্পদ : ৩৩.১ বিলিয়ন
ডলার
ব্যবসায়িক কর্মদক্ষতার জন্য হংকংয়ে
সুপারম্যান হিসেবে পরিচিত লি কা-শিং। এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনী তিনি। হংকংয়ের
অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে লি কা-শিংয়ের কোম্পানিগুলো। তার
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট সেবা থেকে শুরু করে সুপার মার্কেট
চেইনশপ। ৫০টির বেশি দেশে রয়েছে লির ফ্লাগশিপ প্রতিষ্ঠান সিকে হাচিসনের বিভিন্ন
ব্যবসায়িক উদ্যোগ। ১৯৫০ সালে প্লাস্টিকের ফুল বিক্রির মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক
যাত্রা শুরু হয়। এই লি কা-শিং ১৯৪০ সালে নিঃস্ব হাতে দেশ থেকে পালিয়ে হংকংয়ে আশ্রয়
নিয়েছিলেন। ১৫ বছর বয়সে হারিয়েছিলেন বাবাকে। তখন থেকেই পরিবারের সব বোঝা নিজের
কাঁধে চাপিয়ে আজ এই পর্যন্ত পৌঁছেছেন।
বাবাকে হারিয়ে হাইস্কুল
মাড়াতে পারেননি পিনাল্ট
নিট সম্পদ : ৩২.৭ বিলিয়ন
ডলার
বিলাসবহুল পণ্যের মুঘল ধরা হয়
ফ্রাঙ্কোইস পিনাল্টকে। একজন সফল ব্যবসায়ী ও শিকারি কৌশলের জন্য বিশ্বের কাছে তিনি
ব্যাপক পরিচিত। যখন বাজারে বিপর্যয় চলে তখন তিনি ছোট সংস্থাগুলোকে নিজের কোম্পানির
অধীনে কিনে নেন। এরপর তিনি বিলাসবহুল পণ্যের গ্রুপ পিপিআর শুরু করেন। যার অধীনে
রয়েছে বিশ্বখ্যাত গুছি, স্টেলা
ম্যাককার্টনি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইন এবং ইয়েভেস সেন্ট লরেন্টসহ
বিলাসী পণ্যের ব্র্যান্ড। বর্তমানে তিনি এই ফ্যাশন কনগ্লুমারেট কেয়ারিংয়ের
(পিপিআর) চেয়ারম্যান। কিন্তু একসময় অর্থাভাবে হাইস্কুলের গণ্ডিও পেরুতে পারেননি
তিনি। ড্রপআউট হওয়ার পর প্রথমে ব্রিটেন অঞ্চলে কাঠের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু তার
দূরদর্শিতা আজ এই অবস্থানে এনেছে।
এতিমখানায় বড় হন ডেল
ভিঞ্চি
নিট সম্পদ : ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার
নিট সম্পদ : ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার
শৌখিন মানুষের কাছে ব্র্যান্ডেড
সানগ্লাস মানেই রে-বান অথবা ওকলি। ব্র্যান্ড দুটি এতটাই জনপ্রিয় যে,
বিশ্বের কত শত সানগ্লাস ফ্যাক্টরি এই নাম চুরি করে নিজের ব্যবসা
চালিয়ে যাচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু এই ব্র্যান্ডের ভক্তরা ঠিকই খুঁজে বের করেন
আসল কোম্পানির পছন্দসই সানগ্লাসটি। বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করা সানগ্লাস
ব্র্যান্ডের মালিক লিওনার্দো ডেল ভিঞ্চিও। ১৯৩৫ সালে জন্ম নেওয়া ডেল ভিঞ্চিওর বয়স
যখন মাত্র পাঁচ তখন সৎমায়ের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়তে হয়, বেছে নিতে হয় এতিমখানা। একটু বড় হওয়ার পর প্রথম কাজ হিসেবে একটি ফ্যাক্টরিতে
যোগ দেন। যেখানে অটোপার্টস আর চশমার ফ্রেম তৈরি করা হতো। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই ঝুঁকি
নেন একটি ফ্যাক্টরি দাঁড় করানোর। আর সেই ফ্যাক্টরিই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড়
সানগ্লাস আর চশমার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। একসময়কার এতিম লিওনার্দো ডেল ভিঞ্চিওর
নিট সম্পদ এখন ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার।
বিত্তহীন ঘরের ছেলে লক্ষ্মী মিত্তাল
নিট সম্পদ : ১৭.৮ বিলিয়ন ডলার
ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় ধনকুবের
লক্ষ্মী মিত্তাল। বিশ্বের বৃহত্তম ইস্পাত প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান
আর্সেলরমিত্তালের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ভারতের রাজস্থানে এক বিত্তহীন
ঘরে ১৯৫০ সালের ১৫ জুন জন্ম নেন লক্ষ্মী মিত্তাল। এরপর তার পরিবার কলকাতায় চলে
আসে। সেখানে বাবা মহন লাল মিত্তাল একটি ইস্পাতের ব্যবসা গড়ে তোলেন। মূলত বাবার
কাছেই তার ব্যবসার হাতেখড়ি। টানাটানির সংসারে স্নাতক করা ছেলে লক্ষ্মী মিত্তাল
যুক্ত হন বাবার ব্যবসায়। ১৯৭৬ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ইস্পাত কারখানাটি গড়ে তোলেন।
তারপর থেকে কয়েক দশক ধরে রাজত্ব করে আসা ইস্পাত কোম্পানিটি এখন বিশ্বের সেরার
স্থান দখল করে আছে। বিজনেস ইনসাইডারের হিসাবে বর্তমানে লক্ষ্মী মিত্তালের নিট সম্পদের
পরিমণন ১৭.৮ বিলিয়ন ডলার।
দুই বছর বয়স থেকে
এতিমখানায় ছিলেন রোমান
নিট সম্পদ : ১১.৫ বিলিয়ন
ডলার
ধনী ফুটবল ক্লাব মালিকদের তালিকায়
দ্বিতীয় স্থানে আছেন রোমান আব্রাহিমোভিচ। ২০০৩ সালে চেলসির মালিকানা গ্রহণের পর
প্রতিটি দল বদলের মৌসুমে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করাটাকে নিয়মই বানিয়ে ফেলেছেন
এই রাশিয়ান। বিশ্বের বাঘা
বাঘা ফুটবল তারকার ঘাঁটি তার ক্লাবে।
২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৯-১০ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ ও ২০১১-১২ মৌসুমের ইউরোপিয়ান
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতে তার ক্লাব। বিজনেস ইনসাইডারের তথ্য অনুযায়ী
আব্রাহিমোভিচের নিট সম্পদের পরিমাণ ১১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দক্ষিণ রাশিয়ায়
দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া এই আব্রাহিমোভিচের ২ বছর বয়সে জায়গা হয় এতিমখানায়।
সেখানে পড়াশোনা এবং ১৯৮৭ সালে খেলনা বানানোর কোম্পানি দিয়ে তার ব্যবসায়িক জীবনের
শুরু।
অভিবাসী জ্যান আজকের
হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠাতা
নিট সম্পদ : ৯.১ বিলিয়ন
ডলার
হোয়াটসঅ্যাপের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও
জ্যান কোউমের জন্ম ১৯৭৬ সালে ইউক্রেনে। ১৭ বছর বয়সে ইউক্রেন থেকে এসে মায়ের সঙ্গে
আমেরিকার অভিবাসীতে পরিণত হন। সে সময় নিজের ব্যয়ভার চালাতে একটি দোকানে কাজ করতেন।
১৮ বছর বয়সে তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন। তখন তিনি সান জোসে
স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। রপ্ত করে নেন বহু প্রোগ্রামিং জ্ঞান। ১৯৯৭ সালে
ইয়াহু তাকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে হায়ার করে। সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ২০০৯ সালে তিনি
বিশ্বের বৃহৎ
মোবাইল মেসেজিং সার্ভিস হোয়াটসঅ্যাপ দাঁড় করান। বিজনেস ইনসাইডারের তথ্যমতে বর্তমানে
তার নিট সম্পদের পরিমাণ ৯.১ বিলিয়ন ডলার। হোয়াটসঅ্যাপটি ২০১৪ সালে ফেসবুক কিনে নেয়
২২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে।
কেরানি পদে চাকরি করতেন
রালফ লরেন
নিট সম্পদ : ৭.২ বিলিয়ন
ডলার
পোলো ব্র্যান্ডের নাম শোনেননি এমন
ফ্যাশন সচেতন মানুষ বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। পোলো ব্র্যান্ডের আকাশছোঁয়া
জনপ্রিয়তাই মূলত এই ব্রান্ডের মালিক রালফ লরেনকেও করেছে খ্যাতিমান। কলেজ ড্রপআউট
রালফ প্রথমে চাকরি নেন ব্রুক ব্রাদার্সে একজন কেরানি হিসেবে। কিন্তু ১৯৬৭ সালে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে
উদ্যোগী হন। তিনি পুরুষদের পোশাকে টাই-কে সংযুক্ত করেন। আজ তিনি ৭.২ বিলিয়ন ডলার
মূল্যের ‘পোলো’র মালিক। একজন
ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে রালফ লরেনের পথচলা শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু সাফল্য এসেই
যেন তার সঙ্গী হয়েছে। রালফকে বলা হয়
ফ্যাশনের আরেক বিস্ময়। আমেরিকার বিশ্ববরেণ্য এ ডিজাইনার জন্ম নিয়েছেন ১৯৩৯ সালে।
আট বছর বয়সে স্টিফেন
হারান পরিবার
নিট সম্পদ : ৪.৫ বিলিয়ন
ডলার
ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল)
বাল্টিমোর র্যাভেন্স টিমের মালিক স্টিফেন বিস্কিয়োটি। ১৯৬০ সালে পেনসিলভানিয়ায়
একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনি জন্ম নেন। স্টিফেন মাত্র ৮ বছর বয়সে পরিবারকে হারিয়ে
ফেলেন। তখন থেকে সব ব্যয়ভার নিজেকে বহন করতে হয়েছে। আর তাই হাইস্কুলে পড়ার সময়
উপার্জন শুরু করেন। ফুটবল খেলার প্রতি ছিল চরম আগ্রহ। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি
নিজের দূরসম্পর্কের এক ভাইকে সঙ্গে নিয়ে অ্যারোস্পেস ও টেকনোলজি সেক্টরে সেবা প্রদানের
লক্ষ্যে সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে একটি স্টাফিং ফার্ম দাঁড় করান। সেটিকে পরিণত করেন
পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ প্রতিভাধর একটি ফার্মে হিসেবে। পরবর্তীতে সেটি অ্যালেগিস
গ্রুপ হয় যা বর্তমান বিশ্বের বৃহৎ প্রাইভেট স্টাফিং ফার্ম। স্টিফেন বিস্কিয়োটির নিট সম্পদের
পরিমাণ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার।
বাসন মাজতেন শাহিদ খান
নিট সম্পদ : ৭ বিলিয়ন
ডলার
শাহিদ খান এখন বিলিয়নিয়ার। অথচ
জীবিকার খোঁজে একসময় রেস্তোরাঁয় থালাবাসন মাজতে হয়েছে তাকে। তার শুরুর গল্পটা
আপনার চারপাশের আর দশজন সাধারণ মানুষের মতোই। আর্থিক দৈন্য থাকলেও পড়াশোনার প্রতি
আগ্রহী ছিলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন আমেরিকায়। পড়াশোনা চালাতে
রেস্তোরাঁয় বাসন মাজতেন। পড়াশোনা শেষে একটি কোম্পানিতে চাকরি করার কিছুদিন পর
নিজেই কিনে নেন সেটি। এখন তিনি আমেরিকার অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দানকারী গুরুত্বপূর্ণ
এক ব্যক্তি। নাম লিখিয়েছেন বিলিয়নিয়ারদের তালিকায়। বিজনেস ইনসাইডার বলছে বর্তমানে
তার নিট সম্পদ ৭ বিলিয়ন ডলার। বিখ্যাত গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কোম্পানি ফ্লেক্স-এন-গেটের
মালিক তিনি। হাজারো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এই কোম্পানিটির অন্যতম
বৈশিষ্ট্য। শাহিদ খানের জন্ম ১৯৫০ সালের ১৮ জুলাই। পাকিস্তানের লাহোরে একটি
মধ্যবিত্ত পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন সাধারণ ব্যবসায়ী,আর মা গণিতের অধ্যাপিকা।
ছোটবেলায় হন নিগ্রহের
শিকার অপরাহ
নিট সম্পদ : ২.৯ বিলিয়ন
ডলার
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী
নারীর তালিকার শীর্ষে রয়েছেন অপরাহ উইনফ্রে। ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে
এক দরিদ্র মায়ের কোলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। একে তো গায়ের রং কালো তার ওপর আবার
অবিবাহিত মায়ের ঘরে তার জন্ম। মাত্র ৯ বছর বয়সে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে
তাকে। চৌদ্দ বছর বয়সে জন্ম দেন একটি সন্তান। এত প্রতিবন্ধকতা থাকলেও হাইস্কুলে
পড়ার সময় চাকরি পেয়ে যান একটি রেডিওতে। নিজের পারদর্শিতা প্রমাণের এই সুযোগ তিনি
কাজে লাগান দারুণভাবে। যদিও নিজের পারিপার্শ্বিক অবস্থার জন্য কর্মক্ষেত্রে বার বার
অপমানিত হতে হয়েছে। কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে জয় করেছেন মানুষের মন। ‘দি অপরাহ উইনফ্রে শো’ দিয়ে হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয়
মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বিলিয়নিয়ার। বর্তমানে তার নিট সম্পদ
২.৯ বিলিয়ন ডলার।
তানিয়া তুষ্টি
No comments:
Post a Comment