একজনের দুই জামাই।বড় জামাই সংস্কৃত পড়িয়া মস্তবড় পন্ডিত।ছোট জামাই মোটেই লেখাপড়া জানে না।তাই বড় জামাই যখন শ্বশুর বাড়ী আসে তখন সে আসে না।
সেবার পূজার সময় শ্বশুর ভবিলেন,দুই জামাইকে একত্র করিয়া ভালমত খাওয়াই।তা ছাড়া তাদের দুইজনের সঙ্গে তো আলাপ পরিচয় থাকা উচিত।কিন্তু বড় জামাইর কথা শুনিলে ছোট জামাই আসিবে না।তাই বড় জামাইর আসার কথা গোপন করিয়া ছোট জামাইকে নিমন্ত্রণ দিল।
ছোট জামাই শ্বশুর বাড়ী আসিয়া শুনিল বড় জামাইও আসিতেছে।হায়!হায়!কি করিয়া সে বড় জামাইর সংগে কথাবর্তা বলিবে!সে শুনিয়াছে বড় জামাই সংস্কৃত ছাড়া কথাই বলে না।বড় জামাই তখন বাড়ির সামনে আসিয়া পড়িয়াছে;শালা শালীদের মুখে এই খবর শুনিয়া ছো জামাই ভয়ে খাটের তলায় যাইয়া লুকাইয়া রহিল ।
বড় জামাই আসিয়া শালা শালীর সাথে সংস্কৃতে কথা বলিতে লাগিল।শালা-শালীরাও দুই এক কথায় সংস্কৃতেই তাহার উত্তর দিতেছিল।সংস্কৃত ভাষায় প্রায় প্রতি শব্দেই একটা অনুস্বর বা বিসর্গ থাকে।বড় জামাইর মুখে সংস্কৃত শুনিয়া সে ভাবিল,অনুস্বার বিসর্গ দিলেই যদি সংস্কৃত হয় তবে খাটের নীচে বসিয়া আছে কেন?
সে খাটের তলা হইতে বলিয়া উঠিল-
“অনুস্বরং দিলেং যদিং সংস্কৃতং হং
তবেং কেনং ছোটং জামাইং খাটেরং তলেং রং?”
শুনিয়া শাল-শালী তাহাকে খাটের তলা হইতে উঠাইয়া আনিল।ছোট জামাইর সংস্কৃত শুনিয়া বড় জামাই মৃদু হাসিল ।
No comments:
Post a Comment