Wednesday, April 10, 2019

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


শেখ হাসিনা
২০১৪ সালে হাসিনা
বাংলাদেশের ১২শ প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৬ই জানুয়ারি,২০১৯বর্তমান
রাষ্ট্রপতি
ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
জিল্লুর রহমান
আব্দুল হামিদ
পূর্বসূরী
ফখরুদ্দীন আহমদ(তত্ত্বাবধায়ক)
কাজের মেয়াদ
২৩শে জুন,১৯৯৬১৫ই জুলাই,২০০১
রাষ্ট্রপতি
আবদুর রহমান বিশ্বাস
শাহাবুদ্দিন আহমেদ
পূর্বসূরী
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান(তত্ত্বাবধায়ক)
উত্তরসূরী
লতিফুর রহমান (তত্ত্বাবধায়ক)
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা
কাজের মেয়াদ
১০ই অক্টোবর,২০০১২৯শে অক্টোবর,২০০৬
পূর্বসূরী
খালেদা জিয়া
উত্তরসূরী
খালেদা জিয়া
কাজের মেয়াদ
২০শে মার্চ,১৯৯১৩০শে মার্চ,১৯৯৬
পূর্বসূরী
এ.এস.এম.আবদুর রব
উত্তরসূরী
খালেদা জিয়া
সভানেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
কাজের মেয়াদ
১৭ মে ১৯৮১বর্তমান
পূর্বসূরী
আসাদুজ্জামান খান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম
২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭(বয়স ৭১)
টুঙ্গিপাড়া,পূর্ব বাংলা,পাকিস্তান(বর্তমানে বাংলাদেশ)
জাতীয়তা
বাংলাদেশী
রাজনৈতিক দল
আওয়ামী লীগ (১৯৮১বর্তমান)
অন্যান্য রাজনৈতিক দল
মহাজোট (২০০৮বর্তমান)
দাম্পত্য সঙ্গী
ওয়াজেদ মিয়া
সন্তান
সজীব ওয়াজেদ
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
মাতা
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
পিতা
শেখ মুজিবুর রহমান
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
ইডেন মহিলা কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ধর্ম
ইসলাম

·         প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
·         শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ড


দলসমূহ
·         আওয়ামী লীগ
·         মহাজোট
·         ১৪ দলীয় জোট


নির্বাচনসমূহ
·         ১৯৮৬
·         ১৯৮৮
·         ১৯৯১
·         ১৯৯৬
·         ২০০১
·         ২০০৮
·         ২০১৪


·         মন্ত্রীপরিষদ
·         প্রথম মন্ত্রীসভা
·         দ্বিতীয় মন্ত্রীসভা
·         তৃতীয় মন্ত্রীসভা


বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী (১৯৯৬-২০০১)


বিরোধীদলীয় নেতা (২০০১-২০০৮)


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (২০০৮-২০১৪)


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (২০১৪-বর্তমান)


জাতীয় প্রকল্প
·         দে
·        
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (জন্ম:২৮ সেপ্টেম্বর,১৯৪৭) বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির কন্যা এবং তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন প্রায় চার দশকেরও বেশি।তিনি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ ও ১৯৯১-১৯৯৫ পর্যন্ত বিরোধী দলের নেতা এবং ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।১৯৮১ সালে থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবং ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে তার নিজ দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল বিজয় লাভ করলে তিনি টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।
প্রারম্ভিক জীবন
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা,বাংলাদেশের জাতির জনক ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমানের কন্যা।তাঁর মাতার নাম বেগম ফজিলাতুননেসা।তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহন করেন এবং বাল্যশিক্ষা সেখানেই নেন।১৯৫৪ সাল থেকে তিনি ঢাকায় পরিবারের সাথে মোগলটুলির রজনী বোস লেনের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।পরে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে উঠেন।১৯৫৬ সালে তিনি টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বাদে পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়।বোনদ্বয় সেইসময় পড়াশোনার জন্য পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন।১৯৬৫ সালে তিনি আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে তাঁর বিয়ে হয় এবং ওয়াজেদ মিয়া ৯ মে,২০০৯ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।তাঁদের সংসারে সজীব ওয়াজেদ জয় (পুত্র) ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (কন্যা) নামে দুই সন্তান রয়েছেন।
রাজনীতি
আওয়ামী লীগ ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে তাঁর অনুপস্থিতিতেই দলের সভাপতি নির্বাচিত করে।১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতায় আরোহনকে অবৈধ ঘোষণা করলেও তাঁর দল ১৯৮৬ সালে এই সামরিক শাসকের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।পরবর্তীকালে তিনি এবং তাঁর দল এরশাদ বিরোধী দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেন ও ১৯৯০ সালে অভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদ সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
১৯৯১ সালে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের তৎকালীন বৃহত্তম বিরোধীদল হিসেবে প্রকাশ পায়।১৯৯৬ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরেন যা বর্তমানে অনেক দেশে ব্যবহার হচ্ছে।তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তাঁর আন্দোলনে জয়ী হওয়ায় পরবর্তীতে তাঁর দল জাতীয় নির্বাচনেও জয়লাভ করে এবং ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।২০০১ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বড় ব্যবধানে হেরে যায়।পরবর্তীতে ২০০৬ সালে পুনরায় আন্দোলন শুরু করেন কিছু নতুন সমস্যা নিয়ে।
আন্দোলন
১৯৯১ সালের স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা।১৯৯৬ সালে তার দল আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে বামপন্থী দলগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাধ্য করে।ঐ বছর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।
বিএনপি,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,জাতীয় পার্টি (নাজিউর রহমান মঞ্জু) ও ইসলামী ঐক্যজোট এর নির্বাচনী জোটের কাছে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়।শেখ হাসিনা দলের এই পরাজয়ের জন্য দায়ী করেন তারই মনোনীত তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ,সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদকে
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় এক জনসভায় বক্তৃতাদানকালে গ্রেনেড হামলায় এই নেত্রী অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।উক্ত হামলায় তার ঘনিষ্ঠজন এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেন ও শতাধিক আহত হন।বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এই হামলাকে বিদেশী ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়।এই গ্রেনেড হামলার তদন্তকে ভিন্ন খাতে করার জন্য 'জজ মিয়া' নাটক সহ বেশকিছু প্রহসন সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন চারদলীয় ঐক্যজোট প্রশাসন।পরবর্তীতে দেশী ও বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সুষ্ঠু তদন্তে বেরিয়ে আসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তারেক রহমান,তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর,বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা নাসিরুদ্দিন আহমেদ পিন্টু,যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মুজাহিদ,মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদ(বর্তমানে বাংলাদেশে বিলুপ্ত)নেতা মুফতি হান্নান সহ বেশকিছু তৎকালীন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম।
গ্রেফতার
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হন ২০০৭ সালে।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সকাল ৭:৩১-এ যৌথ বাহিনী শেখ হাসিনাকে তার বাসভবন "সুধা সদন" থেকে গ্রেফতার করে।তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।সেখানে আদালত তার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে।শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে অন্তরীণ রাখা হয়।গ্রেফতারের পূর্বে শেখ হাসিনা,আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা জিল্লুর রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে যান।শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুইটি অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।একটি হল ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্য হত্যা মামলা এবং অন্যটি হল প্রায় তিন কোটি টাকার চাঁদাবাজি মামলা।এর মাঝে একটির বাদী ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলাটি তুলে নেন।জেল থেকে মুক্তিলাভের পরে তিনি চিকিৎসার্থে কয়েক মাস বিদেশে অবস্থান করেন।এরপর দেশে ফিরে দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেন।
নির্বাচন ২০০৮
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করে।বিজয়ী দলের সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে তিনি জানুয়ারি ৬,২০০৯-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।তার দল আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ২৬০টি আসন লাভ করে।অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি পায় মাত্র ৩২টি আসন।
নির্বাচন ২০১৪
ইতোপূর্বে সপ্তম,অষ্টম এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়।কিন্তু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ড.ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ক্ষমতা ধরে রাখা এবং রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনের নামে মামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক এ ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষিত হওয়া প্রভৃতি কারণে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিলের উদ্যোগ নেয়।পরবর্তীতে নবম সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাশের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয় এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এ নির্বাচনটি নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই বর্জন করে।শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।এ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় নির্বাচনটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।৫ই জানুয়ারি রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাকী ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে গত ১৮ নভেম্বর,২০১৩ নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠিত হয়।
ক্ষমতাধর নারী
বিশ্ব পর্যায়ে
শেখ হাসিনা ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় ৭ম স্থানে ছিলেন।তার পূর্বে এবং পশ্চাতে ছিলেন যথাক্রমে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালেন জনসন সার্লেফ এবং আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জোহানা সিগার্ডারডটিরযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরীপে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের ১২জনের নাম নির্বাচিত করে।
উল্লেখ্য যে,২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর অনলাইন জরীপে তিনি বিশ্বের সেরা দশ ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে ছিলেন।ঐ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ঠিক পিছনে ছিলেন এবং ব্যাপক প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তার করেছিলেন।২০১৫ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৯তম স্থানে আছেন।২০১৪ সালে এই তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৪৭তম।
এশীয় পর্যায়ে
২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসের শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা সিএনএন ক্ষমতাধর ৮ এশীয় নারীর তালিকা প্রকাশ করেছিল।উক্ত তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা।

লেখক হিসেবে শেখ হাসিনা
রাজনীতির বাইরে লেখক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে।এ পর্যন্ত তিনি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন প্রায় ৩০টি গ্রন্থ।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো;
·         শেখ মুজিব আমার পিতা
·         সামরিক বনাম গণতন্ত্র
·         ওরা টোকাই কেন
·         বিপন্ন গণতন্ত্র
·         সাদা কালো
·         বাংলাদেশে স্বৈরাতন্ত্রের জন্ম
·         PEPOLE AND DEMOCRACY
·         THE QUEST FOR VISION 2021
সম্মাননা
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি,ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়,জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়,স্কটল্যান্ডের অ্যাবারটে বিশ্ববিদ্যালয়,ভারতের বিশ্বভারতী এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়,অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,ব্রাসেলসের বিশ্ববিখ্যাত ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়,রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।এছাড়া ফ্রান্সের ডাওফি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিপ্লোমা প্রদান করে।
·         ইউএন উইমেন থেকে "প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন"
·         গ্লোবাল পার্টনারশীপ ফোরাম থেকে এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরষ্কার৷
·         'ফোর্বস'-এ প্রথম ১০০ সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে ৫৯ তম স্থান অর্জন৷
·         ৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৭ সালে বোষ্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ল ডিগ্রি প্রদান৷
·         ৪ জুলাই ১৯৯৭ সালে জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ল সম্মাননা৷
·         অ্যবার্টয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫ অক্টোবর ১৯৯৭ সালে ডক্টর অব ফিলোসপী সম্মাননা।
·         ইউনেসকো থেকে ১৯৯৮ সালে ‘‘হুপে-বোয়ানি’’ শান্তি পুরস্কার৷
·         সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ থেকে ১৯৯৮ সালে মাদার তেরেসা পুরষ্কার।
·         মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১৯৯৮ সালে এম.কে.গান্ধী পুরস্কার গ্রহণ৷
·         আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে ‘‘Medal of Distinction” পদক ও ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে “Head of State” পদক লাভ।
·         ২৪ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডেসিকোটাম' (ডক্টর অব লিটারেচার,হনোরিস কাউজা)লাভ
·         ১৯৯৯ সালে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা থেকে চেরেস পদক লাভ।
·         ২০ অক্টোবর ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টর অফ ল ডিগ্রি লাভ
·         ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ ল ডিগ্রি লাভ
·         ৫ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে ব্রিজপয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ হিউম্যান লেটার লাভ।
·         ৯ এপ্রিল ২০০০ সালে রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ কর্তৃক পার্ল এস.বাক পুরস্কার
·         রোটারি ফাউন্ডেশন কর্তৃক পল হ্যারিস ফেলো
·         ২০০৯ সালে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার
·         ৩০ ডিসেম্বর,২০১১ সালে বাংলা ভাষার ধারক ও বাহক হিসেবে বাংলা একাডেমি তাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
·         ১২ জানুয়ারি,২০১২ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডক্টর অব লিটারেচার বা ডি-লিট ডিগ্রী প্রদান করে।
·         নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৪ সালে ইউনেস্কো শান্তিবৃক্ষপুরস্কার।
·         জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেতৃত্বের জন্য ইউএন পরিবেশ পুরস্কার(চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ)লাভ।
·         ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য তিনি সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করেন৷
·         ১৬ নভেম্বর ২০১৫ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব দ্য ইউনিভার্সিটিডিগ্রি।
·         ২৬ মে ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক 'ডক্টর অব লিটারেচার(ডি-লিট)' ডিগ্রি।
তথ্যসূত্র
1.      "Sheikh Hasina Wazed" Encyclopedia Britannica (ইংরেজী ভাষায়)সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৬
2.      ব্রিটানিকা অনলাইনে শেখ হাসিনার জীবনী
3.      বিডি নিউজ,জুলাই ১৬,২০০৭, দুপুর ১.১২
4.      বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এডি/ইএইচবি/এমআই/১৮৫৫ ঘ.
5.      দৈনিক প্রথম আলো,মুদ্রিত সংস্করণ,প্রথম পাতা,৬ জানুয়ারী,২০১৪ইং
6.      দৈনিক সমকাল, মুদ্রিত সংস্করণ,প্রথম পাতা,১৯ নভেম্বর,২০১৩ ইং
7.      বিডি২৪লাইভ.কমের প্রতিবেদন:প্রভাবশালী নারী নেতার তালিকায় শেখ হাসিনা,১ম ইংলাক
8.      দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদন:মহিলা অঙ্গনে শীর্ষ ক্ষমতাধর নারী ব্যক্তিত্ব
9.      "বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা"দৈনিক ইত্তেফাক।
10.   "জেনারেল কুইজ"।দৈনিক কালের কণ্ঠ (মুদ্রণ)ঢাকা।১৫ মার্চ ২০১০।পৃষ্ঠা ১৪।
11.  ↑  "প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
12.  ↑  "'প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' 'এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড' গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী"সমকাল২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করাসংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৮
13.   "Bangladesh PM Sheikh Hasina on Forbes' list of 100 most powerful women in the world" bdnews24(ইংরেজি ভাষায়)।২৭ মে ২০১৫সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৬
14.   "早稲田大学" 早稲田大学 (জাপানি ভাষায়)সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
15.   "1998 Prizewinners - United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization" (ইংরেজি ভাষায়)সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
16.   "Prizewinners of the Félix Houphouët-Boigny Peace Prize -United Nations Educational,Scientific and Cultural Organization" (ইংরেজি ভাষায়)সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
17.   "Desikottamas" (ইংরেজি ভাষায়)।১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করাসংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
18.   "News in brief - January 2000" (ইংরেজি ভাষায়)সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
19.   "Queen Sofia of Spain awarded the Ceres Medal" (ইংরেজি ভাষায়)সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

No comments:

Post a Comment